সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন জনপ্রিয় টিকটকারের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জনপ্রিয় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নারী অপহরণের অভিযোগ আবাসিক হোটেল থেকে টিকটকার মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার সাবিনা ইয়াসমিনকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান বাংলাদেশকে সম্মান করলেও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হংকংয়ের আশা অচল কাঠমান্ডু, আজ বাংলাদেশ দলের ফেরা হচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন পাকিস্তানের পেসার উসমান শিনওয়ারি ফাহমিদুল ও মোরসালিনের জোড়া গোলের ঝোড়ো উৎসবে বাংলাদেশ জয়ী বিশাল জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু আফগানিস্তানের
পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে কংগ্রেস কার্যালয়ে বিজেপির হামলা ও সংঘর্ষ

পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে কংগ্রেস কার্যালয়ে বিজেপির হামলা ও সংঘর্ষ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্যে কংগ্রেস কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এই হামলার জন্য দায়ী। সূত্র বলছে, মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার প্রয়াত মাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাটির ফুটেজ দেখিয়েছে যে, দুই দলের নেতাকর্মীরা নিজেদের দলের পতাকার ডান্ডা দিয়ে একে অপরের উপর আঘাত হেনেছেন। এই সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, তবে এখনো কারওর গ্রেপ্তার হয়নি। কংগ্রেস এই ঘটনাকে কঠোর পরিভাষায় নিন্দা জানিয়েছে।

প্রথমে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার প্রয়াত মাকে উদ্দেশ করে অশালীন মন্তব্যের ঘটনা ঘটে যখন ভোটার অধিকার সংরক্ষণ যাত্রা চলছিল। অভিযোগ, দরভাঙ্গার একটি অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের এক নেতা তার পোশাকের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিজেপি থানায় এফআইআর দায়ের করে এবং কংগ্রেসের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার বিহার পাটনায় উত্তেজনা ছড়ায়, যেখানে বিজেপি রাস্তায় নামলে কংগ্রেসও মাঠে নামে। দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। পরিস্থিতি অস্থির থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

অন্যদিকে, বিহারের উত্তপ্ত পরিস্থিতির ছোবল পড়েছে কলকাতার ওপরও। জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সদরদপ্তরে শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। এই সময় বিজেপি সমর্থকরা কংগ্রেস কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, রাকেশ সিংসহ কিছু নেতার নেতৃত্বে নেতৃস্থানীয় ভবনের বাইরে ক্ষতিসাধনের ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভ চলাকালীন রাহুল গান্ধীর ছবি ও বিভিন্ন ব্যানার পোস্টার ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘রাজনীতি আজ দেউলিয়ার পথে। কংগ্রেসের চুরি ধরার রাগেই এই হামলা। পরিস্থিতি যে সময়ে এই ঘটনা ঘটলো, তখন দপ্তর ফাঁকা ছিল। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক।’

বিহার কংগ্রেসের নেতা অশুতোষ অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঘটছে। তাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘নীতীশ কুমার ভুল পথে। আমরা জবাব দেবো।’ এরই মধ্যে বিজেপি নেতা নীতিন নবীন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মায়ের অপমানের বদলা বাংলার ছেলেরা নেবে, এবং এর জবাব তারা দেবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের রাজনীতি নিচে নেমে গেছে। একজন গরিবের ছেলে ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের উন্নতি করছেন, তা নেহায়েত অন্ধকারের বিষয়। তার উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি ও তার প্রয়াত মাকে অপমান করে গণতন্ত্রের উপর কলঙ্ক ডেকে আনা হয়।’

বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাও এই ঘটনা কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘অশালীন আক্রমণ সব সীমা অতিক্রম করেছে। রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

বিহার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রয়াত মাকে অপমান করা অস্বীকার্য এবং অনুচিত। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd